বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ

Passenger Voice    |    ০১:৪৫ পিএম, ২০২৪-০৪-২০


বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বিদেশ থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ১০টি প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করা হয়।

কারণগুলো হলো—

১. বৈধ পথের তুলনায় অবৈধ পথে রেমিট্যান্সে বিনিময় হারের বেশি পার্থক্য।

২. প্রবাসীকর্মীর বৈধ কাগজপত্র না থাকা।

৩. প্রবাসে বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা না থাকা বা পর্যাপ্ত শাখার অভাব।

৪. বাংলাদেশি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান না থাকা বা পর্যাপ্ত মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট না থাকা।

৫. রেমিট্যান্স প্রেরণে উচ্চ ফি বা সার্ভিস চার্জ এবং নির্ধারিত সীমা (সিলিং)।

৬. হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।

৭. অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বা প্রবাসীদের নিকট আত্মীয়দের দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে না।

৮. আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রতিবন্ধকতা।

৯. অননুমোদিত ব্যবসা বা কাজের আয় বৈধ পথে প্রেরণের সুযোগ না থাকা।

১০. বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতার অভাব।

বৈঠকে বিদেশগামী জনবলকে সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান, লোন প্রাপ্তিতে সহায়তা এবং বিদেশে শ্রমিক মৃত্যুজনিত সমস্যা নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

একইসঙ্গে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণে নতুন নতুন শ্রমবাজার অন্বেষণ ও অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী—বিশ্বের সব শ্রম চাহিদার দেশে যুক্তিসঙ্গত বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জনশক্তি পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

সভাপতি ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালেব, মহিউদ্দিন আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও শাম্মী আহমেদ।

প্যা.ভ/ত